নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

ভোটার অঙ্গীকারনামা ফরম পূরণ করার মাধ্যমে অথবা আমাদের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে নিজে নিজে নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন অফিসিয়ালি নতুন ভোটারের জন্য অঙ্গীকারনামার ফরম প্রকাশ করেছে। যেখানে আবেদনকারী নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা ফিলাপ করে এটি করে ফেলতে পারে।

ভোটার হতে কেন অঙ্গীকারনামা লেখতে হয়?

পরিমিত বয়সে যারা ভোটার আইডি কার্ড করেনি তারা যখন পরবর্তী সময়ে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে তখন এই অঙ্গীকারনামা লিখে অন্যান্য ডকুমেন্টেসের সাথে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে তা না জেনে থাকলে জেনে নিন।

অনেকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করে, যার ফলে তাদের বয়স তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। অঙ্গীকারনামা জমা নেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আবেদনকারী পূর্বে ভোটার নিবন্ধন করেনি এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেনি এটি নিশ্চিত হওয়া।

একজন ব্যক্তি কেবল মাত্র একবার ভোটার নিবন্ধন করতে পারে। তাই নতুন ভোটার আবেদনকারী পূর্বে কখনো ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেনি কিংবা অন্য কোনো দেশের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে অথবা নাগরিকত্ব পেতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেনি এই মর্মে অঙ্গীকারনামা লেখতে হয়।

ভোটার অঙ্গীকারনামা ফরম

নির্বাচন কমিশন নতুন ভোটার অঙ্গিকারনামা ফরম প্রকাশ করেছে। এই ফরমে কিছু খালি অংশ থাকে, খালি অংশে আপনার নিজের তথ্য দিয়ে পূরণ করলে অঙ্গীকারনামা রেডি হয়ে যাবে। তারপর চেয়ারম্যান ও একজন সাক্ষীর স্বাক্ষর নিলে সেটি জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নতুন ভোটার অঙ্গিকারনামা pdf ডাউনলোড করুন। তারপর একটি কম্পিউটার দোকান থেকে এটি প্রিন্ট করে আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি ফিলাপ করুন।

অঙ্গীকারনামা ফরমটি pdf আকারে ডাউনলোড হবে। মোবাইল বা কম্পিউটারে এটি ওপেন করা হলে নিচের ছবিটির মতো দেখতে হবে।

ভোটার অঙ্গীকারনামা
ভোটার অঙ্গীকারনামা

নতুন ভোটার হওয়ার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

“ভোটার অঙ্গীকারনামা” মূলত দুই ভাবে লেখা যায়। প্রথমত নির্বাচন কমিশনের দেয়া ফরম ফিলাপ করে যা উপরে দেখানো হয়েছে দ্বিতীয়ত ম্যানুয়ালি নিজের মতো করে। আমি দুটি উপায়েই অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম দেখিয়ে দিবো, আপনার যেটি ভালো লাগে সেটি ফলো করুন।

আপনি এতদিন কি কারণে ভোটার হতে পারেনি তা অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করবেন। এছাড়া অন্য কোনো কারণে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেননি এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

অঙ্গীকার নামা

এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি —————–, পিতা: —————, মাতা: —————–, গ্রাম: —————, পোস্ট: ————-, উপজেলা: ————, জেলা:————-, অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

—————— কারণে দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় এলাকায় উপস্থিত থেকে ভোটার হতে পারিনি। তাই এখন নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। আমি আরও অঙ্গীকার করছি যে, ইতোপূর্বে বাংলাদেশর কোথায়ও আমি ভোটার নিবন্ধন করিনি এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করিনি। যেহেতু একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দন্ডণীয় অপরাধ সেহেতু আমি ভবিষ্যতে দ্বৈত ভোটার প্রমানিত হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকব।

এমতাবস্থায়, আমাকে নতুন ভোটার করার জন্য আপনার নিকট সবিনয় অনুরোধ করছি।

(স্বাক্ষর)
নাম: ——————,
পিতা: ——————,
গ্রাম————-, পোস্ট————–,
উপজেলা:—————-, জেলা:————-

সাক্ষী ও যাচাইকারির স্বাক্ষর

১। চেয়ারম্যান / মেয়র স্বাক্ষর, তারিখ ও সিলঃ

২. স্বাক্ষীর স্বাক্ষরঃ
নামঃ —————-
NID নাম্বারঃ —————-
মোবাইল নাম্বারঃ ——————

আপনার যেভাবে ভালো লাগে সেভাবেই এই অঙ্গীকারনামা লিখতে পারবেন। তবে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো নিবাচন কমিশন যে ফরম দিয়েছে সেটির মাধ্যমে করাই উত্তম।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *